ন্যায়বিচারে খালেদা জিয়াও প্রার্থিতা ফিরে পাবেন: ফখরুল
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
আপিলে অনেকে প্রার্থিতা ফেরত পাওয়ায় কারাবন্দি দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরুর দিন গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি মনে করি, আমাদের দলের অনেক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ার ঘোষণা একটা বিজয়। আমাদের আন্দোলনে আমাদের প্রার্থীরা বৈধ হয়ে এসেছেন এবং তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আমি এটাও আশা করি যে, ন্যায়বিচার যদি প্রতিষ্ঠিত হয় তাহলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষিত হবেন, বিবেচিত হবেন। ফৌজদারি মামলায় দ-িত খালেদা একাদশ সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৬ ও ৭ এবং ফেনী-১ আসনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। কিন্তু দুই বছরের বেশি সাজা হওয়ার কারণ দেখিয়ে ফেনী ও বগুড়ার রিটার্নিং কর্মকর্তারা গত ২ ডিসেম্বর যাচাই বাছাই শেষে বিএনপি চেয়ারপারসনের তিনটি মনোনয়নপত্রই বাতিল করে দেন। তার বিরুদ্ধে আপিল করেছেন খালেদা। গতকাল বৃহস্পতিবার সেই আপিল শুনানি শুরু হওয়ার প্রথম দিনে বিএনপির বেশ কয়েকজনসহ ৭৬ জন তাদের প্রার্থিতা ফেরত পেয়েছেন। শনিবার খালেদার আপিল উঠবে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে। নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমে এক দিন আগে পর্যন্ত হতাশা প্রকাশ করে আসা ফখরুল আপিল ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, রিটার্নিং অফিসাররা আমাদের দলের যাদের অবৈধ ঘোষণা করেছিল, নির্বাচন কমিশনের শুনানির মধ্য দিয়ে তাদের অনেকেই প্রার্থী হওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে। আমি নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাই তারা ন্যায়বিচার করেছেন। এ থেকে আরেকটি বিষয় প্রমাণিত হয়, কমিশন যে সমস্ত কর্মকর্তাদের রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব দিয়েছিলেন, সেখানে প্রার্থী ন্যায়বিচার পাননি। আমরা বরাবরই যে কথা বলে আসছি, সরকারি কর্মকর্তারা যে সরকার দায়িত্বে থাকে, তাদের কথা বেশিরভাগ সময় মেনে চলতে হয়। সে কারণে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, ন্যায়বিচার করা সম্ভব হয় না। সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, আজকে সরকার এত ভীত সন্ত্রস্ত যে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে এই নির্বাচনে। উদ্দেশ্যে নির্বাচনকে প্রভাবিত করা। সারাদেশে গ্রেফতার চলছেই, কোথাও কোথাও বাড়ছে। আজকে খবর এসেছে, বিএনপি কোথাও কোথাও সাংগঠনিক ঘরোয়া সভা করছে, সেখানেও বাধা দিচ্ছে। আবারো বলছি, নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করুন, দলগুলোর যে অধিকার আছে, তা প্রয়োগ করার সুযোগ দিন, গ্রেফতার বন্ধ করুন, বলেন তিনি।